পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত লাবণী পয়েন্টে বিশ্বের সর্বপ্রথম নির্মিত স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বালু ভাস্কর্য’ ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১১.৩০ মিনিটের দিকে একশোটি কবুতর ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন।
এর মধ্য দিয়ে কক্সবাজার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার-রামু-৩ আসনের সাংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সেক্রেটারি, পুলিশ সুপার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠক সহ অন্যান্য আওয়ামী নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, এডভোকেট তাপস রক্ষিত, এডভোকেট রনজিত দাশ, সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহম্মেদ বাহাদুর, ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের সমন্বয়ক ইশতিয়াক আহমেদ জয় ও ভাস্কর্য নির্মাণকারী টিম লিডার কামরুল ইসলাম শিপন।
সম্পূর্ণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি জাহেদ সরওয়ার সোহেলের সঞ্চালনায় সুসম্পন্ন হয়।
মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয় করে বঙ্গবন্ধুর দুটি ভাস্কর্য এখানে তৈরি হয়েছে। একটি বঙ্গবন্ধুর ফ্রি স্ট্যান্ডিং ভাস্কর্য। অপরটি রিলিফ ভাস্কর্য। সৈকতে ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীরা এই ভাস্কর্য দেখে আনন্দিত।
প্রায় ৬ ফুট উচ্চতা ও ১৪ ফুট প্রশস্ত এ ভাস্কর্যটি এযাবৎকালে বাংলাদেশে নির্মিত সবচেয়ে বড় বালুর ভাস্কর্য।
‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই প্রতিপাদ্যে স্থাপিত ভাস্কর্যটি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এরপর প্রশাসনিকভাবে তা বিনষ্ট করে ফেলা হবে।
জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করেছে ‘ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে জেলা প্রশাসক মহোদয়।