logo
ঢাকাশুক্রবার , ২৩ মে ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. জাতীয়

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর নেই

প্রতিবেদক
সংবাদ সবসময়
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৪৬ অপরাহ্ণ

Link Copied!

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর নেই। আজ রোববার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

অ্যাটর্নি জেনারেলের ছেলে সুমন মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যা সাতটা ২৫ মিনিটে চিকিৎসকেরা তাঁর বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর রাতে অ্যাটর্নি জেনারেল জ্বর অনুভব করেন। পরদিন সকালে তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তাঁকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ১৮ সেপ্টেম্বর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি দেশের ১৫তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

শোক: অ্যার্টনি জেনারেলের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শোক বার্তায় বলেছেন, তিনি একজন প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক আইনি বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা রেখেছেন এবং সবসময় ন্যায়নিষ্ঠ থেকে আইনপেশায় নিয়োজিত ছিলেন, যা অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানায়, মাহবুবে আলম ১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মৌছামান্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও ১৯৬৯ সালে লোক প্রশাসনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন মাহবুবে আলম। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। ১৯৭৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগে আইন পেশা পরিচালনার অনুমতি পান। ১৯৯৮ সালে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন মাহবুবে আলম। এ ছাড়া তিনি ১৯৭৯ সালে ভারতের নয়াদিল্লির ‘ইনস্টিটিউট অব কনস্টিটিউশনাল অ্যান্ড পার্লামেন্টারি স্টাডিজ’ থেকে সাংবিধানিক আইন ও সংসদীয় প্রতিষ্ঠান ও পদ্ধতি বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রাষ্ট্রের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহবুবে আলম। এর মধ্যে ১৯৯৩-৯৪ সালে তিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৫-২০০৬ মেয়াদে তিনি আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি মাহবুবে আলম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর থেকে টানা ১২ বছর তিনি এই দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেই সাথে পদাধিকার বলে তিনি আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মামলায় আইনজীবী হিসেবে যুক্ত থাকা মাহবুবে আলম সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম, ত্রয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনী মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলাসহ সর্বোচ্চ আদালতে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধ মামলার মতো ঐতিহাসিক অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মামলা সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করেছেন।

মাহবুবে আলম দেশে ও দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন। এরই অংশ হিসেবে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, হংকং, কোরিয়া ও তানজানিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশ সফর করেছেন মাহবুব আলম।

আরও পড়ুন

ঢাকায় ধরা সোনাপাচার-হুন্ডির ‘বস’ চট্টগ্রামের আবু, একদশকে হাজার কোটির মালিক

এবি পার্টিতে যোগদান করলেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের দেড়’শ ছাত্রনেতা

সাতকানিয়া কেঁওচিয়ায় ওয়ার্ড বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সিলেট ও সুনামগঞ্জের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোঘণা

সাতকানিয়ায় এওচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা

বাজালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নব কমিটির সভাপতি রিফন সাধারণ সম্পাদক অমি

আবারও রেড ক্রিসেন্ট ট্রেজারার নির্বাচিত হলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুস সালাম

স্বাধীনতা পদক পেলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুস সালাম

কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগ টহলদল জ্বালানি কাঠসহ পিকআপ আটক

সাতকানিয়ায় পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা

কুমিল্লায় ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি, স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল