logo
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২২ মে ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. জাতীয়

হেফাজতে মৃত্যু : এসআই জাহিদসহ ৩ পুলিশের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রতিবেদক
সংবাদ সবসময়
৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২:৩৭ অপরাহ্ণ

Link Copied!

থানায় নিয়ে জনি নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পল্লবী থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদসহ তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই তিন পুলিশ সদস্যের প্রত্যেককে বাদীপক্ষকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মামলার অন্য দুই আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের এটি প্রথম রায়।

এ মামলায় ২৪ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন-পল্লবী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ও এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু। সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সোর্স সুমন ও রাশেদ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর-১১ নম্বর সেক্টরে স্থানীয় সাদেকের ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় জনি ও তার ভাই সুমনকে চলে যেতে বলেন। সুমন চলে গেলেও পরদিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকেন। তখন জনি ও তার ভাই তাকে চলে যেতে বললে সুমন পু্লিশকে ফোন করে তাদের ধরে নিয়ে যান। তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন ধাওয়া দিলে পুলিশ গুলি ছোড়ে।

পরে থানায় নিয়ে জনিকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে জনির অবস্থা খারাপ হলে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-পল্লবী থানার সাবেক এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, এসআই আবদুল বাতেন, এসআই রাশেদ, এসআই শোভন কুমার সাহা, কনস্টেবল নজরুল, সোর্স সুমন ও রাসেল।

২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন পাঁচজনকে অভিযুক্ত এবং পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকালে পুলিশের এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।

আরও পড়ুন

ঢাকায় ধরা সোনাপাচার-হুন্ডির ‘বস’ চট্টগ্রামের আবু, একদশকে হাজার কোটির মালিক

এবি পার্টিতে যোগদান করলেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের দেড়’শ ছাত্রনেতা

সাতকানিয়া কেঁওচিয়ায় ওয়ার্ড বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সিলেট ও সুনামগঞ্জের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোঘণা

সাতকানিয়ায় এওচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা

বাজালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নব কমিটির সভাপতি রিফন সাধারণ সম্পাদক অমি

আবারও রেড ক্রিসেন্ট ট্রেজারার নির্বাচিত হলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুস সালাম

স্বাধীনতা পদক পেলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুস সালাম

কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগ টহলদল জ্বালানি কাঠসহ পিকআপ আটক

সাতকানিয়ায় পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা

কুমিল্লায় ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি, স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল