ইফতেখার চৌধুরী: লোহাগাড়া উপজেলার চুনতিতে অভিযানের পরও বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন। এতে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় খাদ্যের সন্ধানে প্রতিনিয়তলোকালয়ে হানা দিচ্ছে বন্যহাতি। প্রতিদিন শত শত বালুবাহী ট্রাক চলাচল করায় যাতায়াত ব্যবস্থা একেবারে নাজুক হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চুনতি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাতগড় লম্বাশিয়া পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পাহাড় কেটে একাধিক শ্যালো মেশিন বসিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। ধ্বংস হচ্ছে পাহাড় ও গাছপালা। সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় গর্ত। প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে গ্রামীণ সড়ক। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই এলাকা থেকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় একটি মহল পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ওই স্থানে অভিযান উত্তোলিত ১১টি স্তুপে প্রায় ১ লাখ চালিয়ে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে ঘনফুট বালু জব্দ করে উপজেলা করা হয়। এরই মধ্যে প্রশাসনের চোখ প্রশাসন। জব্দকৃত বালু নিলামে বিক্রি ফাঁকি দিয়ে পুণরায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। এর আগেও অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু জব্দ করেছিল উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া গত বছরের ২৭ নভেম্বর ওই স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট গভীর গর্তের পানিতে পড়ে মারা গৈছে একটি বন্যহাতি। বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। লোহাগাড়া
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, নিলামের বাহিরে নতুনভাবে বালু উত্তোলনের নিয়ম নেই। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাসান চৌধুরী গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান