জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে চকরিয়ার বানিয়াছড়া এলাকায় গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী হাফেজ মোহাম্মদ ইসমাঈল সিদ্দীকি ও আরমান শাকিল নামে বান্দরবানের লামার ফাইতং এলাকার দুই যুবক নিহত হন।
এদিন দুপুরে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে প্রবাসী বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে সংযোগ রেখে কাদিরা সুলতানা রুমি (২৫) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। রাতে সদরের টেকপাড়ায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান দিনার নামে এক কিশোর।
একই দিন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উখিয়ার টিভি টাওয়ার এলাকায় ট্রাক ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে রোহিঙ্গাসহ ৩ জন মারা যাওয়ার কথা জানান শাহপরীর দ্বীপ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।
এর আধা ঘণ্টা পরে একই স্থানে অ্যাম্বুলেন্স উল্টে শিশুসহ দুই রোহিঙ্গা মারা গেছেন। দুজন আহত হয়েছেন। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে আহত ও নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে বুধবার রাত ১১টার দিকে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের আল মারওয়া আবাসিক হোটেলের ১৩১ নম্বর কক্ষ থেকে থেকে শারমিন আক্তার (২৬) নামে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সময়ে কক্সবাজারে দিহান নামের এক যুবক নিহত হয়।
সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাহবুবুর রহমান নামের এক যুবকের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া বুধবার ডুলাহাজারায় একজন এবং উখিয়া ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিপক্ষের হামলা, সড়ক দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যাজনিত কারণে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সব মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।