সাতকানিয়া: গ্রাম থেকে নগর অঞ্চল পর্যন্ত আজকের শিক্ষা খাতে উন্নয়নের জোয়ার কেবল আ’লীগ সরকারের ক্ষমতায়নে সম্ভব হয়েছে। ২০০৭ সালের দেশের পূর্ণাঙ্গ যে বাজেট ছিল ২০২২-২৩ অর্থ বছরে তার চেয়ে বেশী শিক্ষা খাতে বাজেট দেওয়া হয়েছে। তাই নিজেকে আত্মকেন্দ্রিক না হয়ে নিজের দেশের জন্য গড়ে তুলুন। বেশি বাজেটের একমাত্র কারন শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন। কারন যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশকে আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ করার জন্য শিক্ষা খাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই প্রচেষ্টা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন মেয়ে হয়ে আজকে পুরো দেশ চালাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী আজ বিশ্বের কাছে উদাহরন। তিনি যদি একক হাতে একটি বিশ্বের কাছে আলাদা ভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন তাহলে তোমরা কেন পারবেনা? নারীরা আজ দেশের বিভিন্ন উচ্চ পদে অবস্থান করে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তোমরাও পড়াশুনা করবে এবং কাজ করবে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে সাতকানিয়া উপজেলার চিববাড়ি এম এ মোতালেব কলেজের ভবন উদ্বোধন ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কিছু লোক ধর্মের দোহাই দিয়ে বলে নারীরা কাজ করতে পারবেনা। ইসলাম কখনো নারীদেরকে কাজ থেকো বিরত রাখেনি। বরং কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে। সুতরাং যারা এসব কথা বলে তারা ইসলামের শত্রু জাতির শত্রু। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রম আর বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি সর্বদা দেশের কল্যান নিয়ে ভাবেন এবং দেশের কল্যানে কাজ করেন। সুতরাং আগামীতেও আ’লীগ সরকারকে নির্বাচিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় রাজনীতি করা সহজ ছিলনা। ৮০’র দশকে আমি ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম। সাতকানিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক থাকাকালীন জামায়াত শিবিরের হাতে হামলার শিকার হয়েছি। জামায়াত শিবিরের আতঙ্কে কোন জায়গায় একত্রে জড়ো হয়ে মিটিং মিছিল করতে পারিনি। আজকে আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় রাজনীতি অনেক সহজ হয়েছে। কিন্তু এমন সময়ে রাজনীতিতে যদি ক্ষোভের প্রকাশ পায়, যদি ব্যানার পোষ্টার ছেড়ার মত নোংরা কাজ করা হয় তাহলে সেটি আওয়ামীলীগের জন্য ক্ষতি এবং দলের জন্য। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, দলের কিংবা নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্মকারী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সাতকানিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব সিআইপির সভাপতিত্বে ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম, সহ সভাপতি এডভোকেট মির্জা কচির, প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী ও ডাঃ আ.ম.ম মিনহাজুর রহমান সহ জেলা ও উপজেলা আ’লীগের সহস্রাধিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ।