আনোয়ারা প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র, উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত চাতরী চৌমুহনী বাজারে আগুন লেগে ব্যংক, হোটেলসহ দশটি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
রোববার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টা ৪৫ এর দিকে উপজেলার বৃহত্তর চাতরী চৌমুহনী বাজারে অভিজাত হোটেল “ভোজন বাড়ি”র নিচে এক ঝাল বিতান থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে জানা যায়।
এসময় আগুনে ভোজন বাড়ি হোটেল, বেসরকারি এবি ব্যাংক লিমিটেডের চাতরী চৌমুহনী শাখা ও আশেপাশের দশটি দোকান পুড়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনোয়ারা, সিইউএফএল, লামার বাজার, বাঁশখালী, চন্দনাইশসহ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট কাজ করেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়নি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে আগুনে আটকে পড়া এবি ব্যাংকের প্রহরীসহ দুইজনকে উদ্বার করে ফায়ারসার্ভিসের সদস্যরা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সরওয়ার আলম নামের এক যুবক জানান, রাত ১২টার পরে ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টের নিচে একটি ঝাল বিতানের চুলা থেকে আগুন লেগে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পাশের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে আগুন লেগেও সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনা যাচ্ছিলো। পরবর্তীতে আনোয়ারাসহ আশেপাশের উপজেলা থেকে ফায়ারসার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টে ও এবি ব্যাংক ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হল মোঃ দিদার,ফারুক সাওদাগর, মোঃ কায়সার, মোঃ শাহেদ, মোঃ মনির, মোঃ মোজাম্মেল, নাছির উদ্দিন ও আবদুল জলিল।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ভোজন বাড়ি হোটেলের ম্যানাজার মো. কামাল উদ্দিন বলেন, হঠাৎ আগুনের সূত্রপাতে আমরা কোন রকম দোকানের কর্মচারিরা বেরিয়ে পড়েছি কোনো মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। আগুনে আনুমানিক ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
এবি ব্যাংকের ম্যানাজার মোঃ ফারহান বলেন, আগুনে ব্যাংকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
এবিষয়ে আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল হোসেন বলেন, রাত ১২টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এবং আশেপাশের ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের সহযোগিতায় ৩ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়। আগুনে ক্ষয়ক্ষতি এবং সূত্রপাতের বিষয়ে এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।