অ্যাডিলেইডে গত বুধবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ভারতের বিপক্ষে ৫ রানে হারে বাংলাদেশ। ম্যাচের পর নুরুল হাসান সোহান ফেক ফিল্ডিং থেকে ৫ রান না পাওয়ায় আক্ষেপের কথা জানান।
এটি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠতে সময় লাগেনি। আকাশ চোপড়া এক টুইটে জানতে চান, আসলেই ফেক ফিল্ডিংয়ে কোনো ঘটনা ম্যাচে ঘটেছে কি না। ততক্ষণে ফেক ফিল্ডিংয়ের ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। যেখানে পরিষ্কার ফুটে ওঠে অভিযোগ সঠিক, বাংলাদেশের রান তাড়ায় সপ্তম ওভারে বল ছাড়াই থ্রো করার ভঙ্গি করেছিলেন বিরাট কোহলি।
আইসিসির আইন অনুযায়ী, “কোনো ফিল্ডার তার কথা বা কাজ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাটসম্যানের মনোযোগ ভিন্নমুখী করলে বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কিংবা বাধার সৃষ্টি করলে, তা অন্যায্য হবে।”
ফেক ফিল্ডিংয়ের শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দলের সঙ্গে ৫ রান যোগ হয় এবং বলটিকে ঘোষণা করা হয় ‘ডেড।’একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী, ফিল্ডার ইচ্ছাকৃতভাবে এরকম কিছু করেছেন কিনা, সেটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার আম্পায়ারদের বা মাঠের কোনো একজন আম্পায়ারের।
ওই ঘটনার সময় ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত তাৎক্ষণিক আম্পায়ারকে জানান। তবে আম্পায়ার তখন বলেছিলেন যে তাদের নজরে পড়েনি। আর এখানেই ভারত পার পেয়ে যায়।
“হ্যাঁ, ওটা শতভাগ ফেক ফিল্ডিং ছিল কারণ যেভাবে সে (কোহলি) বল থ্রো করার ভঙ্গি করেছিল। আম্পায়াররা যদি দেখত, তাহলে আমাদের ৫ রান পেনাল্টি করা হতো এবং আমরা কেবল ৫ রানেই জিতেছি।”
“তাই এই জায়গায় আমরা বেঁচে গেছি কিন্তু পরবর্তীতে যদি কেউ এমনটা করে তাহলে আম্পায়াররা আরও বেশি সর্তক থাকবে। বাংলাদেশের অভিযোগ কী সঠিক? হ্যাঁ, তারা ঠিক। তবে কেউ এটা দেখেনি, তাই এখন আর কিছুই করার নেই।