চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক নারী সদস্যক হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য মরতুজা বেগম এই অভিযােগ করেন। গত ১৭ই জুলাই শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ইউপি সদস্য মরতুজা বেগমের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযােগ করেন।এই সময় সংবাদ সম্মলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্যর ছেলে মাইনুল ইসলাম, ভাই মা. ইসমাইলসহ এলাকার লোকজন।ইউপি সদস্য মরতুজা বেগম অভিযােগ করে বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী ও যুবলীগ নামধারী মাে. রাসেল, তাঁর ছােট ভাই রায়হান ও এনামরা এলাকায় মাদক ব্যবসা ও নারী নিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িত। এসব অন্যায় ও অনৈতিক কাজে বাঁধা দেওয়াসহ এলাকায় সুষ্ঠু বিচার-আচার করার কারণে রাসেলরা আমার উপর ক্ষুব্ধ ছিল।আরো বলেন, কয়েকদিন আগে রায়হানকে স্থানীয় লােকজন মাদক নিয়ে আটক করেন। পর তাঁকে মারধর করার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে মারধর থেকে রক্ষা করে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলি। এই খবর শুনে রায়হানের বড় ভাই রাসেল মােবাইলে ফােন আমাকে গালাগালী করেন। এ সময় তিনি আমাকে দেখে নেওয়া ও হত্যার হুমকি দেন।মরতুজা বেগম অভিযােগ করে বলেন, এর পরের দিন সকালে বিষয়টি নিয়ে সাতকানিয়া থানায় যাওয়ার জন্য আমরা বের হই। ময়নাবাদের দােকানঘাটা এলাকায় পৌঁছালে রাসলেসহ অন্যরা আমাদের গতিরােধ করে আমার ভাই, ছেলে ও আমাকে মারধর করেন। এ সময় রাসেল আমাদের মারতে গিয়ে পাশের টিনের উপর পড়ে আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। ইউপি সদস্য মরতুজা বেগম বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হয়েও ওই সন্ত্রাসীদের হুমকি পায় নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছি। তাঁরা যেকােনাে সময় আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করেত পারেন। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবি জানাই।