
ইফতেখার হোসেন রাজু: চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পৌরসভা সদরের অবস্থিত শতবর্ষী গোদার পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।পুকুরে ভরাটের পর
মার্কেট নির্মাণ জন্য স্কেভেটর ও অর্ধশতাধিক ডাম্পার ট্রাক দিয়ে পুরো দমে কাজ। তবে উপজেলার প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চললেও নীবর থাকতে দেখা গেছে।
ব্যক্তি মালিকানাধীন হিসেবে রেকর্ড করা পুকুরগুলো জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ এর ২ (চ) ধারায় প্রাকৃতিক জলাধারের সংজ্ঞাভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত মামলার রায় পাওয়ার এক বছরের মধ্যে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিবকে এ আদেশটি বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। গেজেট প্রকাশিত হলে, ব্যক্তি মালিকানার পুকুরও চাইলেই ভরাট করে ফেলা যাবে না।
সাতকানিয়া মডেল হাই স্কুলের সামনের সড়ক পথে কানুরাম পুকুরের পাশ ঘেঁষে ২টি গেইট দিয়ে পুকুর ভরাট কাজ চলছে। অপরদিকে সরকারি কলেজ সড়ক দিয়ে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর পশ্চিমে সড়ক তৈরি করে এ পুকুরে মাটি ভরাট করা হচ্ছে ।
জানা গেছে, মৃত কবির আহমদ সওদাগর গংসহ আরও বেশ ক’য়েকজন অংশীজনের মালিকানাধীন শতবর্ষী এ গোদার পুকুর। এদের মধ্যে কবির আহমদ সওদাগরের নাতি কবির মোহাম্মদ মহসিন অংশীজনদের ক’য়েকজন মিলে মিশে পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মানের উদ্দ্যেগ নেন।
তবে মহসিন বলেন, পুকুরটি পরিতক্ত হওয়ায় সকল ওয়ারিশের সম্মতিক্রমে ভরাটের কাজ চলছে।৫০’বছরের অধিক সময় এটি ব্যবহার না হওয়ায় মূলত জায়গাটি উন্নয়নের কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।
স্থানীয়রা বলেন, ডাম্পার ট্রাকের মাটি ভরাট করার সময় মাটি পড়ে বৃষ্টিতে সড়ক কাদা ও মারাত্মক ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ’ছাড়া একসাথে মাটিভর্তি অসংখ্য ডাম্পার ট্রাক চলাচল করায় সড়কে যানজট সৃষ্টির কারণে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে ।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মোঃ ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, পরিতক্ত হউক বা অব্যবহৃত হউক কোন ভাবেই কোন পুকুর ভরাট করা যাবে না।আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং এবিষয়ে সত্যতা পেলে আইনাণুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।